জাহালমের ঘটনায় দুদকের প্রতিবেদনে হাইকোর্টের অসন্তোষ

জাহালম

জাহালমের ঘটনায় জড়িত দুদকের ১১ তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিষয়ে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তবে ওই ১১ কর্মকর্তার নাম, পরিচয় ইত্যাদি বিষয় পূর্ণাঙ্গভাবে উল্লেখ না করায় প্রতিবেদনটির বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। 

একইসঙ্গে ওই ১১ আসামির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য তুলে ধরে পুনরায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বুধবার (২১ আগস্ট) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

মামলার শুনানিকালে দুদকের আইনজীবী আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে জাহালমের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩৩ মামলার পুনরায় তদন্ত এবং দুদকের ১১ তদন্ত কর্মকর্তার জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় বিস্তারিত তথ্যসহ পুনরায় প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘‘৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে’’, ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরের ডুমুরিয়া গ্রামের জাহালম ‘ভুল আসামি’ হয়ে বিনা দোষে তিন বছর জেল খাটার ঘটনায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত।

ওই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপনের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৩৩ মামলার মধ্যে মোট ২৬টিতে ‘ভুল’ আসামি হয়ে জেল খাটার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও মামলার বাদীসহ চারজনের ব্যাখ্যা শোনেন আদালত।

এরপর জাহালমকে ২৬ মামলায় জামিন দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি জাহালমের ঘটনায় দুদকের তদন্তের অগ্রগতি জানতে চান আদালত।

পরে গত ১১ জুলাই আদালতের নির্দেশ অনুসারে ২৬ মামলায় ‘ভুল’ আসামি হয়ে টাঙ্গাইলের জাহালমের জেল খাটার ঘটনা তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। ওই প্রতিবেদনে দুদক কর্মকর্তাদের তদন্তে গাফিলতি, ব্যাংক কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতা ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় একটি চক্রের লিপ্ত থাকার বিস্তারিত তথ্য উঠে আসে।