শিশু আদালত প্রতিষ্ঠায় সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে: বিচারপতি ইমান আলী



শিশু-কিশোরদের অপরাধের বিচারের জন্য শিশু আদালত প্রতিষ্ঠায় সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি অন চাইল্ড রাইটসের (এসসিএসসিসিআর) সভাপতি ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের কনফারেনস কক্ষে ‘শিশু আইন-২০১৩’ নিয়ে আয়োজিত বিভাগীয় পরামর্শ সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল—ইউনিসেফ এবং সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি অন চাইল্ড রাইটস যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, ২০১৭ সালের মে মাসে আইনমন্ত্রী পৃথক শিশু আদালত প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এরপর দুই বছর কেটে গেলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন গরিব রাষ্ট্রেও শিশুদের জন্য আলাদা আদালত রয়েছে। কিন্তু দেশে এখনও এ ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ এই বিচারপতি বলেন, শিশু-কিশোরদের অপরাধের বিচারের জন্য আলাদা ‘শিশু আদালত’ হওয়া উচিত। কারণ, শিশুদের বিচার হবে সংশোধনের উদ্দেশে, শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশে নয়। শিশু আর প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীর বিচার একরকম নয়। প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীর ক্ষেত্রে শাস্তি দেওয়াই থাকে উদ্দেশ্য। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে সেটি নয়।
বিচারপতি ইমান আলী বলেন, আইনেই বলা আছে, শিশু অপরাধীর বিচার তাড়াতাড়ি করতে হবে। কেননা, তাদের ভবিষ্যৎ সামনে। তাকে ভালো হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিশু আদালত স্থাপন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি নাইমা হায়দার প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
এ ছাড়া খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও পাবলিক প্রসিকিউটর, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিতি ছিলেন।