জবির ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় র‌্যাবের দুঃখ প্রকাশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়



গত ১২ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় লিখিতভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. কাইয়ুমুজ্জামান খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে দুঃখ প্রকাশ করেন।

সাক্ষাতে গত ১২ সেপ্টেম্বরের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। র‌্যাব মহাপরিচালকের নির্দেশে র‌্যাব-১০ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে এবং এতে র‌্যাবের কোনও সদস্যের বাড়াবাড়ি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামন, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, ডিএমপি লালবাগ জোনের ডিসি মো. মুনতাসিরুল ইসলামসহ র‍্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ দফতর থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে পাঠানো এক বার্তায় র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক কাইয়ুমুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিবৃতি পাঠানো হয়। এ বিবৃতিতেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে একই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থী পরিবহনকারী বাস উত্তরণ-২ সায়েদাবাদে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে পৌঁছানোর পর র‍্যাব ১০-এর একটি গাড়ি ফ্লাইওভারে ওঠার মুখ বন্ধ করে আড়াআড়ি দাঁড়িয়েছিল। এ সময় শিক্ষার্থীরা গাড়িটি সরাতে বললে ওই গাড়ি থেকে কয়েকজন র‍্যাব সদস্য নেমে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এ ঘটনায় একজন গুরুতরসহ পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত হন।
এ ঘটনার জেরে রবিবার সকাল ৮টায় শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী বাসগুলো ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কস্থ রায়সাহেব বাজার মোড়ে পৌঁছালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরের আশ্বাসে ক্যাম্পাসে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।