অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ভাগাভাগি হচ্ছে, গণমাধ্যমে আসছে না: আরেফিন সিদ্দিক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা শিক্ষকদের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেছেন, ‘উন্নয়ন কাজের টাকায় ছাত্ররাজনীতিকরা ভাগ বসায়, এখান থেকে টাকা চায়, এটি অচিন্তনীয়। অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এসব ঘটছে, ভাগাভাগিগুলো এমনভাবে হচ্ছে যে তা গণমাধ্যমে আসছে না।’

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ‘আমাদের শিক্ষা ও আজকের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) এর উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। 

এসময় ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ হবে। এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবাই চাইবে। এখানে যারা ভাগ বসায়, এখান থেকে টাকা চায়, এটি অচিন্তনীয়। কেন তারা এসব করছে? শুধু কী শিক্ষার্থীদের দোষ? কারা তাদের ব্যবহার-অপব্যবহার করছে এটিও দেখতে হবে। আমরা দেখেছি, প্রশাসনে থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যোগসাজশে অপকর্ম করেছে। এগুলোরও তদন্ত হওয়া উচিত। সততার শিক্ষা দেবেন শিক্ষকরা। এই শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি বলেই আমাদের সন্তানরা চাঁদাবাজি করছে। অভিভাবক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে এই ব্যর্থতা আমাদের। আমরা নানাভাবে সমাজকে কলুষিত করে চলেছি। তার প্রভাব পড়ছে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে।’  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরও বলেন, ‘একজন সুশিক্ষিত মানুষ কখনও মিথ্যা বলতে পারে না, দুর্নীতি করতে পারে না। কিন্তু আমরা দেখছি, যিনি দুর্নীতি করছেন তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। কীসের উচ্চশিক্ষা? এটি তথাকথিত উচ্চশিক্ষা, তার সনদ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু এ কথাটিই বলে গেছেন যে- সাধারণ মানুষ দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে তথাকথিত উচ্চশিক্ষিতরা।’

আলোচনা সভায় স্বাশিপ সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাশিপের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহসভাপতি অধ্যক্ষ সাজিদুল ইসলাম।