নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের দাবি





‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ বাস্তবায়ন করে নিরাপদ ও জনবান্ধব সড়ক এবং গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সাঈদুর রহমান এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের পরিবহন খাতে পরিবহন কৌশল, আইন-কানুন ও নীতি-নৈতিকতার তেমন গুরুত্ব ও প্রয়োগ দৃশ্যমান নয়। আদর্শহীন রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের হাতে গোটা পরিবহন খাত জিম্মি। তাদের নৈরাজ্যে যাত্রী, পথচারী ও সাধারণ মানুষ অসহায় ও অধিকারহীন।’
সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে দাবি করে তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশে ইন্সুরেন্স কোম্পানির মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পান। বাংলাদেশ মোটরযান অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩-তে থার্ড পার্টি ইন্সুরেন্সের মাধ্যমে এই সুবিধা পাওয়ার বিধান ছিল। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত কেউ ক্ষতিপূরণ পেয়েছে, এমনটি শোনা যায়নি।
লিগ্যাল ইকোনমিস্ট মোহাম্মদ শাহজাহান সিদ্দিকী বলেন, রোড সেফটি ফান্ডকে একটা ইন্ডেপেনডেন্ট ট্রাস্ট ফান্ড করা দরকার ছিল। তাহলে সাধারণ লোকজন এখানে ট্রাস্টি হিসেবে যোগদান করতে পারতেন। এটাকে যদি সরকারি প্রতিষ্ঠান বানানো হয়, অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতোই চলবে। সুতরাং আমাদের দাবি হচ্ছে থার্ড পার্টি ইন্সুরেন্সকে ম্যান্ডেটরি করা হোক এবং ট্রাস্ট ফান্ডকে ইন্ডিপেনডেন্ট ট্রাস্ট ফান্ড হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসিনা বেগম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল—বাসদের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।