ইসলামপুরে ১০৫ টন বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস আটক

712076c041c3bfd640c81c44174d7f7a-5d2511f2dd013

বন্ড সুবিধায় আমদানি করা ফেব্রিকস চোরাই পথে খোলাবাজারে বিক্রি প্রতিরোধে পুরান ঢাকার ইসলামপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান করেছে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় অভিযান শেষ হয়।

অভিযান শেষে মোট প্রায় ১০৫ টন উন্নতমানের শার্টিং, স্যুটিং, পর্দার কাপড় জব্দ করে কাস্টমস গুদামে প্রদান করা হয়েছে। আটক পণ্যের মোট মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ইসলামপুর এলাকার বিভিন্ন পাইকারি মার্কেটে বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস এর বাণিজ্য সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার অভিযোগ পায় ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। এরপর উপকমিশনার রেজভী আহম্মেদ ও ফখরুল আমিন চৌধুরী এবং সহকারী কমিশনার মো. আল আমিন, শরীফ মোহাম্মদ ফয়সাল ও আকতার হোসেনের সম্মিলিত নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে প্রায় ১০০ জন কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেয়। এছাড়াও ডিএমপি এবং সিআইডি পুলিশ অভিযানে সহায়তা করেছে।

ইসলামপুর এলাকার আল ইসলাম প্লাজা এবং শুভরাজ টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরে মোট ৭টি গোপন গুদামে বিপুল পরিমাণ বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস মজুদ পাওয়া যায়। এসব ফেব্রিকস বিভিন্ন রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করে অবৈধভাবে চোরাই বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

অভিযান চলাকালে স্থানীয় চোরাকারবারি-সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হয়ে কাস্টমস এর অভিযানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে শুরু করে। তারা মার্কেটের বাইরের রাস্তা ব্লক করে দিয়ে স্লোগান দেয় এবং কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এসময় ডিএমপি সদর এবং স্থানীয় কোতয়ালি থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে অভিযান সম্পন্ন করা হয়।

সহকারী কমিশনার মো. আল আমিন জানান, অভিযান শেষে মোট প্রায় ১০৫ টন উন্নতমানের শার্টিং, স্যুটিং, পর্দার কাপড় জব্দ করে কাস্টমস গুদামে জমা প্রদান করা হয়েছে। আটক পণ্যের মোট মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ফাঁকি শুল্ক-করাদির পরিমাণ প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা। বিশেষ অনুসন্ধান ও মামলা দায়েরের মাধ্যমে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট গার্মেন্টস-বন্ড প্রতিষ্ঠানসমূহ চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান।