এবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন এনায়েতপন্থীদের

সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন



ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহসহ অন্যান্য নেতার বিরুদ্ধে গত ১ অক্টোবর ‘মিথ্যা, আজগুবি, ভিত্তিহীন’ তথ্য দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. আবুল কালাম সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল কালাম বলেন, গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগের পক্ষ থেকে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়, তা পরিবহন খাতের নেতাদের সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। সংগঠনটি সরকার থেকে নিবন্ধিত নয়। নামসর্বস্ব এই সংগঠনের সঙ্গে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা সম্পৃক্ত নয়। চাঁদাবাজি করার জন্য তারা ওই সংগঠন তৈরি করেছে। ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ওইদিন যারা ছিল তারা কেউই পরিবহন মালিক নয়। আমাদের নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহর কারণে তারা টার্মিনাল দখল করতে পারছে না। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে এই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ছাদিকুর রহমান হিরুকে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি বলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক নিরাপদ চেয়ে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পরিবহন খাতে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধসহ মোট ৯ দফা দাবি জানায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ। সংগঠনটির সদস্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গোটা পরিবহন খাত এখন খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার সহযোগীদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। এই খাতে এখন একনায়কতন্ত্র চলছে। প্রতিদিন পরিবহন খাত থেকে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। নিরীহ মালিক-শ্রমিকেরা সেখানে অসহায়।