সম্রাটের মহাখালীর বাসায় কিছুই পায়নি র‌্যাব

সম্রাটের মহাখালীর বাসায় র‌্যাবের অভিযান

ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের মহাখালীর বাসায় অভিযান চালিয়ে কিছুই পায়নি র‌্যাব। রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে মহাখালীর ডিওএইচএস এর ২৯ নম্বর রোডের ৩৯২ নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় এই অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-২। এই বাসায় সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী থাকেন।

অভিযান পরিচালনাকারী র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় আমরা অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কিছু পাইনি।

সম্রাটের মহাখালীর বাসা

এ অভিযানের পর সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমি আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। অপরাধী যে হোক আইন অনুযায়ী তাকে সাজা দেওয়া হোক।

তিনি দাবি করেন, ‘ক্যাসিনোর টাকা সম্রাট কখনও নিজের পেছনে ব্যয় করতো না, এসব টাকা দলের পেছনে ব্যয় করতো। সংসারের পেছনে সে অবৈধ টাকা খরচ করতো না।’

সম্রাটের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে আপনি সেটা জানতেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শারমিন বলেন, ‘তার (সম্রাটের) অফিসের ২০০ গজের মধ্যে থানা পুলিশ রয়েছে। তারাই জানতো না, আমি কিভাবে জানবো? সে কিভাবে ক্যাসিনোর মধ্যে জড়ালো সেটি আমি জানি না। আইনে যা আছে তাই হবে। সে অন্যায় করলে সাজা পেয়ে ভালো হয়ে আবার ফিরে আসুক।’

সম্রাটের মহাখালীর বাসায় র‌্যাবের অভিযান শেষে কথা বলছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী

তিনি বলেন, ১৮ বছর আগে ২০০১ সালে সম্রাটের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তখন খুব ভদ্র ও সোজা টাইপের মানুষ ছিল। ওই বছরের জুন মাসে সম্রাটের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

শারমিন জানান, দুই বছর ধরে সম্রাট এই বাসায় আসেন না। তবে সংসারের যাবতীয় খরচ পাঠিয়ে দিতেন।

সম্রাট ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী

সরকারের শুদ্ধি অভিযান সম্পর্কে শারমিনের মন্তব্য, ‘আমি মনে করি, সরকার ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। এভাবে আমার বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে এতে আমি বিব্রত নই। এটা আমার ভালো লেগেছে।’ সরকারের কাছে আবেদন করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকার যদি যুবলীগ ছাত্রলীগের সংগঠনকে একটি করে ফান্ড তৈরি করে দেন তবে দলের নেতা-কর্মীরা দুর্নীতিতে জড়াবেন না। এতে দেশ থেকে দুর্নীতি অনেক কমে যাবে।’

প্রসঙ্গত: আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের একটি বাড়ি থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাকে ঢাকায় আনার পর তার কাকরাইলের অফিস এবং শান্তিনগর ও মহাখালীর বাসায় অভিযান চালানো হয়।