বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রিশা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত আসামি ওবায়দুলকে (২৯) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, ‘ঠান্ডা মাথায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রিশা স্কুলে যাওয়ার পথে আসামি ওবায়দুল খান রিশাকে চাকু দিয়ে পেটের বাঁ পাশে আঘাত করলে আঘাতটি তার পিঠের পেছনে গিয়ে লাগে। এই আঘাতে রিশার মৃত্যু হয়।’
রায় ঘোষণার সময় সুরাইয়া আক্তার রিশার মা-বাবা, তার ছোট ভাই ও বোন আদালতে হাজির ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে ওবায়দুল খানকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বিচারক রায় পড়া শুরু করেন ৩টা ৪ মিনিটে। রায় পড়া শেষ হয় ৩টা ৪৫ মিনিটের আগে। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারক আহমেদ আসামির খালাস দাবি করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সে পোশাক বানাতে দেয় রিশা। ওই টেইলার্সের রসিদে বাসার ঠিকানা ও তার মায়ের মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুল খান রিশাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। পরে ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দিলে স্কুলে যাওয়ার পথে রিশাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে সে। তার প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রিশাকে ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল। ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর মামলার তদন্ত শেষে ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আরও খবর...
রিশা হত্যার দায় স্বীকার ওবায়দুলের
রিশার হত্যাকারী ওবায়দুলের মৃত্যুদণ্ড
উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের সেই ছাত্রী মারা গেছে
রিশার ঘাতক ওবায়দুলের ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় শত শত শিক্ষার্থী