সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিন দিনের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান। (ছবি: আইএসপিআর)

রাসায়নিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়াতে আয়োজিত ৩ দিনের ‘বেসিক অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড প্রোটেকশন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) শেষ হয়েছে। ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপি থেকে ৪৪ জন কর্মকর্তা বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ এবং প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশ নেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ কোর্সটির ব্যবহারিক অংশ ঢাকার পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীরা কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ার এজেন্ট শনাক্ত করা, উদ্ধার সরঞ্জাম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম, রাসায়নিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় জরুরি উদ্ধারকাজ পরিচালনার কৌশল এবং হতাহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করেন।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।

এ সময় তিনি বলেন, যেকোনও রাসায়নিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য তিনি এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন।