সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে এক নম্বর সতর্ক সংকেত





আবহাওয়া অধিদফতর ভবনসাগরে নিম্নচাপ; শক্তি বেড়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা। তবে বাংলাদেশে নয় ভারতের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু ঝড়ের প্রভাবে দেশের প্রায় সব অঞ্চলে বৃষ্টির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। এদিকে, সাগর উত্তাল থাকায় চার সমুদ্র বন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।


আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে নিম্নচাপটির অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে মনে হচ্ছে ঝড় হলেও সেটি ভারতের উপকূলের দিকে যেতে পারে। বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা কম।’ তিনি জানান, ঝড় হলে এর প্রভাবে সারাদেশে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। অনেক সময় নিম্নচাপ ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত না হয়ে দুর্বল হয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর আন্দামান সাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ ঘণীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার দমকা, অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।