‘সম্রাট-আরমানের সম্পদের তথ্য জানতে বিদেশেও খোঁজ নেওয়া হবে’

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটতদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও সহসভাপতি এনামুল হক আরমানের সম্পদের সন্ধানে বিদেশেও খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।
মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের সম্পদের সঠিক পরিমাণ তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্ত কর্মকর্তা যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে বিদেশেও খোঁজ নিয়ে দেখবেন। দুদকের এই সুযোগ আছে।
এদিন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়।
সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বাদী হলেন দুদক উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আর আরমানের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় ২ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বাদী হলেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন।
সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা তদারক করবেন দুদক পরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২) সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
গত ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করা হয়।