ভ্রাম্যমাণ আদালতের অফিস ছাড়ার নির্দেশে আসক-এর উদ্বেগ

আসক

আবাসিক এলাকা থেকে দুই মাসের মধ্যে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-কে অফিস ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাজউকের অভিযানে এই সিদ্ধান্তের পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। আসক-এর নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর লালমাটিয়ার কার্যালয়ের ভবন মালিকের গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) কার্যালয়ে আসেন। আসক কেন আবাসিক এলাকায় অফিস পরিচালনা করছে তা জানতে চান তিনি। তখন আসক-এর পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয় এবং অবহিত করা হয় যে- ভবনের ভাড়াটিয়া হিসেবে চুক্তি অনুযায়ী সব শর্ত মেনেই অফিস পরিচালনা করা হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে আরও জানানো হয় যে- আসক একটি সেবামূলক, অলাভজনক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান এবং আসক কোনও ধরনের আর্থিক কিংবা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে না।

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২ এর ৩ (ক) ধারা মতে আসক-কে আগামী দুই মাসের মধ্যে কার্যালয় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রদানের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিকভাবে প্রদানের নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আইনটি এবং আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাটি আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর জন্য প্রযোজ্য নয় বলে অবহিত করার পর ভ্রাম্যমান আদালতের মেজিস্ট্রেট বিষয়টি আমলে না নিয়ে জরিমানা বহাল রাখেন এবং জরিমানা ও স্বীকারোক্তিমূলক স্বাক্ষর আদায় করেন। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে এই আদেশের কপি আসককে প্রদানের অনুরোধ করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এমনকি আসক-এর পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আবেদন জানানোর পরেও তিনি আসক-কে আদেশের কপি প্রদান করেননি।