নাশকতার পরিকল্পনায় উত্তরায় মিলিত হয়েছিল চার জঙ্গি: র‌্যাব

র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আনসার আল ইসলামের গ্রেফতার সদস্যরা ‘লোন উলফ অ্যাটাক’ এর পরিকল্পনা করতে রাজধানীর উত্তরায় মিলিত হয়েছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের চার সদস্য। চূড়ান্ত পরিকল্পনার আগেই উত্তরা থেকে চারজন এবং গাজীপুর ও সাতক্ষীরা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৪। গত ১৫ নভেম্বর বিকাল তিনটা থেকে ১৬ নভেম্বর সকাল সাতটা পর্যন্ত দু’টি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘আটককৃতরা ২ থেকে ৫ বছর ধরে এই জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। বর্তমান রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা ‘তাগুদি’ বলে মনে করে তারা। এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়। এটা বাস্তবায়ন করার পথে যারা তাদের বাধা দেয় তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করছিল তারা। তবে চূড়ান্ত পরিকল্পনার আগেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
গ্রেফতারকৃতরা হলো, নীলফামারীর শফিকুল ইসলাম ওরফে সাগর ওরফে সালমান মুক্তাদির (২১), পিরোজপুরের ইলিয়াস হাওলাদার ওরফে খাত্তাব (৩২), সাতক্ষীরার ইকরামুল ইসলাম ওরফে আমীর হামজা ও আমীর হোসাইন অরফে তাওহীদি জনতার আর্তনাদ (২৬), শিপন মীর অরফে আব্দুর রব (৩৩) এবং চাঁদপুরের ওয়ালিউল্লাহ ওরফে আব্দুর রহমান (২৫)।
র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক জানান, মাদ্রাসা শিক্ষক ওয়ালিউল্লাহ ওরফে আব্দুর রহমান ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিল। আর সাতক্ষীরার ইকরামুল ইসলাম ওরফে আমীর হামজা খুলনা অঞ্চলের দায়িত্বে ছিল।
আনসার আল ইসলামের সদস্যরা ‘কাট আউট’ পদ্ধতিতে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে থাকে বলে জানান এডিশনাল ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, “তারা প্রটেকটিভ অ্যাপস ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে, যেগুলো সাধারণত ইন্টারফেস করা যায় না। তারা ‘কাট আউট’ পদ্ধতিতে চলে।”