নারী নির্যাতনকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে নারী নির্যাতনকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ‘অরেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড: জেনারেশন ইক্যুয়ালিটি স্ট্যান্ডস অ্যাগেইনস্ট রেপ’ শিরোনামে আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব আহ্বান জানান। বাংলাদেশ নারী বিচারক সমিতি এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, নারী নির্যাতন একটি গুরুতর অপরাধ। এই অপরাধের ফলে নিঃসন্দেহে নারীর অধিকার, নিরাপত্তা এবং মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়। শারীরিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানির মত ভিন্ন ভিন্ন অপরাধ নারীদের দুর্বল এবং তাদেরকে শোষণের দিকে পতিত করে। শক্তিশালী ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা এবং ন্যায় বিচারের মাধ্যমেই নারী নির্যাতনকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্যাতিতদের রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের ২০১৯ সালের রিপোর্টে দেখা গেছে, ইউরোপের দেশগুলোতে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ এবং এশিয়ার দেশগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ নারী কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হন। 

তবে নারীর অবাধ স্বাধীনতা, অধিকার এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের বিচারব্যবস্থা সবসময় সংবেদনশীল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ধর্ষণ শুধু নারীর শরীরকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, ধর্ষণ নারীদের মনকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে-যা নারীদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ধর্ষকের বিচারের অভাবে এ ধরনের ক্ষতির পুনরাবৃত্তি ঘটে। তাই ভুক্তভোগীর অদম্য ও নির্ভরযোগ্য সাক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও ধর্ষকদের খালাস দিলে তা শুধু ভুক্তভোগীর ওপরে কেবল একটি বড় অবিচার নয়, এটি সমগ্র সমাজকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরা, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বাংলাদেশ মহিলা বিচারক সমিতির সভাপতি তানজিনা ইসমাইল, ইউএনডিপির পরামর্শক শর্মিলা রসুলসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকবৃন্দ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন।