১৮৭ জনের নাম পেয়েছি, তবে এখনই প্রকাশ নয়: দুদক চেয়ারম্যান

রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন এর মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদদুর্নীতি কারও ভেতরে বা বাইরে থাকে না। দুর্নীতি মাথায় থাকে। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধে সবার সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেছেন, অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো, ঠিকাদারি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে যারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি হয়েছে। এ তালিকায় ১৮৭ জনের নাম রয়েছে। তবে তাদের নাম এখনই প্রকাশ করা হবে না।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‌্যাক) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন দুদক চেয়ারম্যান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র‌্যাকের সভাপতি মোর্শেদ নোমান। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আদিত্য আরাফাত। উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম ও সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত প্রমুখ।

অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো, ঠিকাদারি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে যারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি হয়েছে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ১৮৭ জনের নাম তালিকায় আছে।

দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় নেই জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতিবাজরা দুদকের জাল থেকে কোনোভাবেই বের হতে পারবে না। কোনও তদবির এখানে কাজ করবে না। দুর্নীতিবাজদের আইন-আদালতের মুখোমুখি হতে হবেই।

তিনি বলেন, দুদকের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। বড় বড় রুই-কাতলা হিসেবে যাদের নাম পেয়েছি তাদের কারও নাম এখনই প্রকাশ করা হবে না। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আরও অনেককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অর্থ পাচারের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় সাজার হার এখন শতভাগ।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ট্রেড বেইজড মানিলন্ডারিং বেশি হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের বেশি মামলা করার কথা। কার কী দায়িত্ব তা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।