জিএসপি প্লাস সুবিধা চায় বাংলাদেশ

ইইউইউরোপের বাজারে অস্ত্র ছাড়া বিনা শুল্কে পণ্য পাঠানোর যে সুবিধা (জিএসপি) বর্তমানে বাংলাদেশ পাচ্ছে তা ২০২৪ সালের পরেও অব্যাহত রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ষষ্ঠ ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগে’এ দাবি জানানো হয়।
এ ডায়ালগের শুরুতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এভরিথিং বাট আর্মস প্রকল্পের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ( ইইউ) দেওয়া বাণিজ্য সুবিধায় বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে। । তিনি বলেছেন, ইইউ-এর কাছে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ, কারণ ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার এবং রফতানি বাজার।’
সভা শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনেসি তেরিংক।
এ সময় জানানো হয়, ইউরোপের বাজারে বিনা শুল্কে পণ্য পাঠানোর যে সুবিধা (জিএসপি) বর্তমানে বাংলাদেশ পাচ্ছে তা ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হলে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই সভায় সে বিষয়ে ইইউ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ২০২৪ সালের পরেও তা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে।
তপন কান্তি আরও জানান, ২০১৬ সালের ২২ তারিখ এই ফোরামের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি সেক্টরে কাজ করার জন্য পাঁচটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এগুলো হলো- কাস্টমস, ফার্মাসিটিক্যালস, ট্যাক্স, ফাইন্যান্সিয়াল ফ্লোস এবং বিনিয়োগ।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ বাণিজ্য পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য উভয় পক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে ইইউয়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে।
সংলাপে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনসহ ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন। অপরদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনেসি তেরিংকসহ জার্মানি, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত অংশ নেন।