অধিদফতরে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে ৪৯টি বইয়ের দাম যাচাই করা হয়েছে। যেখানে তারা বাজারদামের ২ থেকে ১৫ গুণ বেশি দামে বই কেনার অভিযোগের প্রমাণ পাননি। কোন বইগুলোর দাম যাচাই করা হয়েছে, প্রতিবেদনে অবশ্য তা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রিন্সিপাল অ্যান্ড প্র্যাকটিস অব সার্জারি’ বইটি কেনা হয়নি। কিন্তু জাতীয় ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ ও ২৭ মে দুটি টেন্ডারে ৪৭৯টি আইটেমের ৭ হাজার ৯৫০টি বই কেনার দরপত্র আহ্বান করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে অনুযায়ী, সবগুলো বইই কেনা হয়েছে। দুটি টেন্ডারে মোট কন্টাক্ট ভ্যালু ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৮৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৪৩ টাকা। টেন্ডার আইডিতে (৩১৭৮৮৬) দেখা গেছে, ৭৯ নম্বর সিরিয়ালে ‘প্রিন্সিপাল অ্যান্ড প্র্যাকটিস অব সার্জারি’ বইটির নাম রয়েছে। সেখানেও এই বইয়ের ১০টি কপি কেনার কথা উল্লেখ রয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে ‘প্রিন্সিপাল অ্যান্ড প্র্যাকটিস অব সার্জারি’ বইটি কেনার কথা অস্বীকার করা হলেও এ ধরনের আর কতগুলো আইটেম তারা কেনেননি, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেডিক্যালের উল্লেখিত বইগুলো কেনার পর মেডিক্যাল কলেজগুলোতে পাঠানো হয়েছে বলে গত ২৯ আগস্ট টেন্ডার সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করেছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষে এসব বই কেনার দায়িত্বে থাকা শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন বিভাগের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোহাম্মদ শামীম আল মামুনের স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যের রেকর্ড বাংলা ট্রিবিউনের কাছে আছে।