সাম্প্রদায়িকতার কাছে আত্মসমর্পণ লজ্জার: কামাল লোহানী

999মহান স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর সাম্প্রদায়িকতার কাছে আত্মসমর্পণ বড়ই লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বরেণ্য সাংবাদিক কামাল লোহানী। তিনি বলেন, ‘আমরা সামান্য হেফাজতের কাছে নতজানু হয়ে পাঠ্যবই থেকে কবিতা, লেখা উঠিয়ে দিতে পারি না। এজন্য আমরা অত্যাচারী, সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানের কাছ থেকে রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনিনি।’
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রকাশনা সংস্থা ‘কালো’ আয়োজিত লেখক-পাঠক সম্মিলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কামাল লোহানী বলেন, ‘আমরা মুখে অনেক কথা বলতে জানি, কিন্তু বাস্তবায়ন করতে জানি না। আমরা যদি আমাদের কাজকে বাস্তবায়ন করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমাদের দেশটা আরও ভালো থাকতো, সত্যিকারের দেশ নির্মাণ আরও সহজ হতো।’
বরেণ্য এই সংবাদিক বলেন, ‘আমাদের চারপাশে সাম্প্রদায়িকতা জেঁকে বসেছে। এর ভয়াল থাবা থেকে আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে। বঙ্গবন্ধু একবুক আশা নিয়ে অসাম্প্রদায়িক দেশ নির্মাণের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। অথচ স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর আজ হেফাজতের কাছে নতজানু হয়ে পাঠ্যবই থেকে কবিতা, লেখা উঠিয়ে নিচ্ছি। এটা লজ্জার কথা! অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার পরিবর্তে তাহলে কি সাম্প্রদায়িকতার দিকে চলে যাচ্ছি?’
তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশি বেশি বই পড়তে হবে। স্বাধীনতার বিষয়ে জানতে হবে, শিশুসহ অন্যদের জানাতে হবে। তাহলেই সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে পারবো।’ অন্যথায় সাম্প্রদায়িকতায় জেঁকে বসবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
সম্মিলনে কবি আশুতোষ ভৌমিককে সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন এবং রোটারি ক্লাব অব ঢাকা মিডটাউনের প্রেসিডেন্ট শাখাওয়াত হোসেন মামুন।