ইভিএমে ভোট ডাকাতি আলোর মতো পরিষ্কার: বিএনপি

২১

ঢাকার দুই সিটি করাপোরেশনের ভোটে আবারও ইভিএম ব্যবহার না করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির দাবি, ইভিএমে ভোট ডাকাতি দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। এদিকে সদ্য অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট জালিয়াতির করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে নির্বাচনটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল এসব তথ্য জানান।  

বেলা ১১টায় ইসি সচিবালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং চট্টগ্রাম- ৮ আসনের উপনির্বাচনে দলের প্রার্থী আবু সুফিয়ান। বৈঠকে সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের নেতকার্মীদের ভয়ভীতি দেখানো ও তাদের ওপর হামলার অভিযোগ করেছে বিএনপি।

বৈঠক শেষে বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ইভিএমে ভোট ডাকাতি দিনের আলোর মতো সহজ। এ পদ্ধতিতে ভোট চুরি হলে চ্যালেঞ্জ করারও কোনও সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা সিটিসহ সব নির্বাচন দখলদারিত্বের নির্বাচনে পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা তীব্র হচ্ছে।’

তার অভিযোগ, বিএনপির উত্তরের প্রার্থী তাবিথের ওপর হামলা হয়েছে। এ্যানিসহ ১৫ জন হামলায় আহত হয়েছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) রাস্তার ওপর অফিস করেছে, পোস্টার লাগিয়েছে। কিন্তু আমাদের (বিএনপির) প্রার্থীকে বাধা দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকার খবরদারি চালাচ্ছে।’

নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘বিএনপি ভোটে অংশ নিচ্ছে, এটি কমিশনের প্রতি আস্থা হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু জনগণের কোনও আস্থা নেই।’ 

চট্টগ্রাম-৮ আসনে ব্যালটে পুনর্নিবাচনের দাবি করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচনে কী ঘটেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হয়েছে, সেটি নিয়ে আজ কথা বলেছি। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের চেয়েও অনেক বেশি খারাপ হয়েছে এই নির্বাচন। নির্বাচন ব্যবস্থা অধিকতর খারাপের দিকে যাচ্ছে। উন্নতি তো দূরের কথা, অবনতির দিকে যাচ্ছে, ফলে আস্থাহীনতা বাড়ছে।’ 

চট্টগ্রামে সব কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘১৭০ পোলিং স্টেশনের মধ্যে সবগুলোই দখল করে নিয়েছিল ক্ষমতাসীনরা। সবাই সরসরি কেন্দ্র দখল করেছে, মিছিল করেছে। যেখানে ভোট দেয়, তা দখল করে নিয়েছে। মৃত মানুষের ভোট, প্রবাসীদের ভোট, জেলে থাকাদের ভোটও দিয়েছে। ইভিএমে ভোট ডাকাতি হয়, চট্টগ্রামের ভোটে তা প্রমাণিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কমিশনকে অনুরোধ করেছি- চট্টগ্রামের নির্বাচনটি বাতিল করে দিন। ব্যালটের মাধ্যমে পুনর্নির্বাচন দিন। কারণ, দিনের আলোর মতো পরিষ্কার- সেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল না। সেখানে কেন্দ্র দখল করেছে, ইভিএমের পাসওয়ার্ড নিয়েছে, ব্যালট ইউনিটে তারা ভোট দিয়েছে। ’