মুজিববর্ষেই হবে দেশের প্রথম ক্যাডাবেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট

জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্লান্টেশন বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।

মুজিববর্ষে দেশের প্রথম কিডনি ক্যাডাবেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি বলেছেন, ‘আশা করছি, এ দেশে ক্যাডাবেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি শিগগিরই আমরা করতে পারবো। মুজিববর্ষে তো অবশ্যই হবে, মুজিববর্ষ শুরু হওয়ার আগে আমরা করতে পারি কি-না সে চেষ্টা করবো’।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্লান্টেশন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মরণোত্তর কিডনি দানকে ত্বরান্বিত করন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশে কিডনি সার্জন ও চিকিৎসকরা সফলতার সঙ্গে প্রায় দুই হাজার কিডনি রোগীর প্রতিস্থাপন করেছেন। তার মধ্যে বিএসএমএমইউতে ৫৫৮ জন কিডনি রোগীর ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন হয়। বর্তমানে ক্যাডাবেরিক কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

মূল বক্তব্যে সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যানটেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, প্রতিবছর বিশ্বে ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ৪০ হাজার মানুষের কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়। অথচ মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ কিডনি রোগের চিকিৎসা পায়। বাকি ৮০ ভাগ মানুষ চিকিৎসাসেবার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের ৬০ ভাগের বেশি মানুষ মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশে ১৯৮২ সাল থেকে কিডনি সংযোজন ও ডায়ালাইসিস সেবা চালু রয়েছে। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনে দিনে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সে তুলনায় অপ্রতুল জীবিত কিডনি রোগীরা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারছেন না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম, ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম খুরশিদ আলম, সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যানটেশনের সাধারণ সম্পাদক ইউরোলজিস্ট অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ।