জামিন জালিয়াতির চেষ্টায় আসামিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

হাইকোর্টনিয়মবহির্ভূতভাবে একটি জামিন আবেদন পৃথক দুটি কোর্টে দাখিলের মাধ্যমে জালিয়াতির চেষ্টার দায়ে এক আসামিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই আসামি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের গোয়েন্দা শাখার অফিস সহায়ক মো. তসলিম উদ্দিনের জামিন না মঞ্জুর করে জরিমানার টাকা দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারি ট্রেজারিতে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক, আর আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুর এ আলম উজ্জ্বল।
এর আগে গত বছরের ৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের ষোলশহরে ‘চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স’-এর ২য় তলায় ‘আনুকা’ নামের একটি দোকানে এলএ শাখার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে চেইনম্যান নজরুল ইসলামসহ দুজনকে গ্রেফতার করে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর এনফোর্সমেন্ট টিম। এসময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নেওয়া ঘুষের ৮ লাখ ৭ হাজার টাকাসহ ৯১ লাখ ৮৩ হাজার টাকার ১০টি চেক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার আরেকজন হলো চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের গোপনীয় শাখার অফিস সহায়ক সহযোগী মো. তসলিম উদ্দিন। মো. নজরুল ইসলাম বর্তমানে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কর্মরত।
তসলিম উদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে জামিনের আবেদন করে। তবে আদালত আবেদনটি নামঞ্জুর করলে সে জামিন চেয়ে হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চে আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানিকালে একই সময়ে দুই আদালতে আসামির জামিন আবেদনের তথ্য গোপন করায় হাইকোর্টের নিয়ম ভঙ্গের কারণে তাকে জরিমানা করলেন হাইকোর্ট।