এ ঘটনায় ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪-৫শ’ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাগিনা সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার যেভাবে অগ্রগতি হওয়া দরকার ছিল সেভাবে হচ্ছে না। বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তাও মামলার অগ্রগতির বিষয়ে কিছুই জানাতে পারছেন না। তিনি (আইও) বলছেন, পুলিশ যে আসামিদের গ্রেফতার করেছে তাদের নাম ঠিকানা ও কিছু তথ্য ভুল ছিল। সেগুলো সংশোধন করা হচ্ছে।’ টিটু আরও বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তাদের আমি প্রায়ই বলে আসছি, রেণু হত্যার পেছনে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বিষয়টি বারবার তদন্ত কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানালেও তারা আমলে নিচ্ছেন না।’
রেণুর ছেলে তা-সিন আল মাহির ও মেয়ে তাসমিন মাহিরা তুবার বিষয়ে নাসির উদ্দিন টিটু বলেন, ‘‘রেণুর ছেলে তা-সিন আল মাহির কিছুটা বুঝে। তারপরও তার মায়ের স্মৃতি মনে পড়লে নিশ্চুপ থাকে। খাওয়া-দাওয়া করতে চায় না। কিন্তু তুবা এখনও জানে না তার মা কোথায় আছে। সে প্রায়ই জিজ্ঞেস করে ‘মা কোথায় গেছে’, ‘মা আসে না কেন’, ‘মা কখন আসবে’।’’
মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল হক (পরিদর্শক, গোয়েন্দা পুলিশ) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলাটির এজাহারে ৪০০- ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। কিছু আসামিকে ঘটনার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে কিছু আসামির ঠিকানা ভুল ছিল। এগুলো সংশোধন চলছে। মামলাটির তদন্তে অগ্রগতি রয়েছে। আমি মামলার দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছু সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করছি। ঘটনার সঙ্গে আর কোনও আসামির যদি সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যদের সংশ্লিষ্টতার যে অভিযোগ আছে, তা আমরা পর্যালোচনা করছি। হঠাৎ করেই কাউকে তো গ্রেফতার করা যায় না।’
মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিরা হলো, ইব্রাহিম হোসেন, শাহিন, বাচ্চু মিয়া, বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, বিল্লাল, আসাদুল ইসলাম, রাজু, আবুল কালাম আজাদ, ওয়াসিম, জাফর হোসেন, রিদয় হোসেন ও রিয়া বেগম। এদের মধ্যে ওয়াসিম ও জাফর হোসেন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিয়া বেগম গত ১৯ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। বাকি আসামিরা কারাগারে রয়েছে।