বিজয়ী মেয়রদের জন্য ৭ সংগঠনের ‘নাগরিক ইশতেহার’

সাত সংগঠনের নাগরিক ইশতেহার ঘোষণা

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী মেয়রদের জন্য ‘নাগরিক ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে সাতটি সংগঠন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংগঠনগুলোর যৌথ আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় ইশতেহার তুলে ধরেন কেয়ার বাংলাদেশ-এর পরিচালক আমানুর রহমান।

নাগরিক ইশতেহারে ৯টি বিষয় তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে— ১. ভূমির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, ভূমি দখল মুক্ত করা ও জলাবদ্ধতা দূর করা। ২. যানজট, নগর পরিবহন এবং পরিবেশ, নারী ও প্রতিবন্ধীবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থার প্রচলন করা। ৩. নাগরিক নিরাপত্তা এবং নারীবান্ধব সড়ক ও পাবলিক স্পেস তৈরি করা। ৪. আবর্জনা ও দূষণমুক্ত সবুজ ঢাকা গড়া। ৫. শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠসহ সব শ্রেণি, লিঙ্গ, প্রজন্মের জন্য উন্মুক্ত স্থান, পার্ক, খেলার মাঠ ও নগর ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা। ৬. উন্নত নাগরিক পরিষেবা ও পরিষেবা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করা। ৭. বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও সবার জন্য সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করা। ৮. বাজার মনিটরিং, নিরাপদ খাবার ও বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা এবং ৯. সুষম ও প্রগতিশীল কর ব্যবস্থাপনা করা।

ইশতেহার শেষে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের জেনারেল সেক্রেটারি মনোয়ার মোস্তফা বলেন, ‘গত কয়েক দশকে নাগরিক প্রত্যাশার ৯৭/৯৮ ভাগ পূরণ হয়নি। ঢাকা একটি বসবাস অযোগ্য শহরে পরিণত হয়েছে। ১৯৮৬ সাল থেকে আমি ঢাকায় বসবাস করছি। প্রত্যেকদিন সংকট বেড়েছে। সংকটের সমাধান রাতারাতি করা সম্ভব নয়। কিন্তু জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। ঢাকা হচ্ছে দেশের হার্ট, কিন্তু এই হার্ট ব্লক হয়ে গেছে। হার্ট ব্লক হলে শরীর চলতে পারে না। সামনে ইলেকশন, তাই এই কথাগুলোই মেয়র প্রার্থীকে বলতে চাই। তবে নাগরিকদের মধ্যেও বিষয়গুলো আলোচিত হতে হবে। নাগরিকদের ভয়েস রেইস করতে হবে।’

নাগরিক মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের জেনারেল সেক্রেটারি ড. আদিল মো. খান, কোয়ালিশন ফর আরবান পুরের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সানিয়াত প্রমুখ।