শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত উত্তরের ১৩১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট শেষে শুরু হয় গণনা। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে স্থাপন করা হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র। প্রথম ৯টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয় সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায়। এরপর ৩২টি কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ করা হয় সন্ধ্যা ছয়টায়। এভাবে ১২ দফায় পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করতে ১১ ঘণ্টা সময় নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সিটির মেয়র পদসহ সবগুলো ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণা শেষ হয়েছে ঠিক রাত ৩ টায়।
ইভিএমে ভোটগ্রহণের পর ফলাফল প্রকাশ করতে দীর্ঘ সময় লাগায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঘোষণা কেন্দ্রে আসা বিভিন্ন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকরা।
তবে ফলাফল ঘোষণা করতে দেরি হওয়ার কোনও সঠিক কারণ বা ব্যাখ্যা দিতে পারেননি ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আবুল কাসেম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চেষ্টার কোনও ত্রুটি নেই। আমাদের ট্যাবে....। কেন দেরি হচ্ছে, আমি তো আপনাদের সঙ্গেই আছি। আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
রিটার্নিং অফিসার ট্যাবের বিষয়টি উল্লেখ করলে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, তাহলে কেন ৪২ হাজার ট্যাব কেনা হয়েছিল? জবাবে রিটার্নিং অফিসার বলেন, ‘আমাদের আসতেওতো দেরি হয়েছে।’
এ প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা কেন্দ্রে উপস্থিত কর্মী সমর্থকরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন।
তখন রিটার্নিং অফিসার আবুল কাসেম বলেন, ‘শোনেন আমাদের আসতেওতো দেরি হয়েছে। সাঁতারগুলে আমাদের কেন্দ্র আছে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।
আর শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় ঘোষিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ফজলে নূর তাপস বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।
এদিকে ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি।