৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সব বন্দরে বাধ্যতামূলক হয়েছে স্ক্রিনিং

 

বন্দরে যাত্রীদের স্ক্রিনিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছেচীনসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে নতুন করোনা ভাইরাস (২০১৯-এনসিওভি) ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের প্রতিটি বন্দরে ভাইরাস শনাক্তের স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক জানুয়ারি থেকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ৯০ হাজার ২৪৫ জন বিদেশ ফেরত যাত্রীর স্ক্রিনিং সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে স্ক্রিনিং হয়েছেন ১২ হাজার ৬৩০ জন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত স্বাস্থ্য সচেতনতায় করণীয় শীর্ষক বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৬ হাজার ১৬২ জন, নৌ-বন্দরে ২৪০ জন এবং সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৬ হাজার ২২৪ জন বিদেশ ফেরত যাত্রীর করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য স্ক্রিনিং হয়েছে। এই স্ক্রিনিং সব বন্দরে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়নি। রংপুরে করোনা ভাইরাস সন্দেহে সদ্য চীন ফেরত একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তিনি ভাইরাস মুক্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় সাড়ে আটশ’ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে ভাইরাসটি চীনসহ ২৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন প্রমুখ।