গ্রেফতার পাঁচজন হলো মো. রাসেল (২১), আল আমিন খান (২২), মো. ইমরান (১৯), মো. শাকিল (২০) ও মো. রাজীব (২০)। গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি ওয়াহিদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মোহাম্মদপুরের সাবেক কমিশনার রাজীবের সহযোগী ছিল শাহ আলম জীবন। তার সঙ্গে বিরোধ রয়েছে একই এলাকার ভাত রাসেল ও ইমনের। ভাত রাসেল ও ইমন একসঙ্গে চলফেলা করে। নির্বাচনের দিন রাতে শাহ আলমকে হত্যার উদ্দেশে বের হয় ইমনের লোকজন। ক্লাবে গিয়ে শাহ আলমকে পায়নি তারা। পরে মোহাম্মদপুরের রহিম ব্যাপারীর ঘাট এলাকায় ইমনের লোকজন দেখে দৌড়ে পালানোর সময় সুমনকে ধারালো অস্ত্র কোপানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রিয়াদ শিকদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হামলাকারী এই গ্রুপের হোতা ইমন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবি পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) গোলাম মোস্তফা রাসেল। তিনি বলেন, ঘটনাটা দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে। শাহ আলম গ্রুপের সঙ্গে ভাত রাসেল ও ইমন গ্রুপের দ্বন্দ্ব ছিল। নির্বাচনের দিনও একটি ভোটকেন্দ্রে শাহ আলম গ্রুপের সুমনের সঙ্গে ভাত রাসেলের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই সুমন কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সুমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সুমনের বাবার নাম আনোয়ার শিকদার। লালমাটিয়ার ‘এফ’ ব্লকের একটি বাসায় কেয়ারটেকার তিনি। আর রাপা প্লাজায় একটি ডিস সংযোগ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সুমন। তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজেন্ডারে।
আরও পড়ুন...
নির্বাচন শেষে মোহাম্মদপুরে যুবক খুন, গ্রেফতার হয়নি কেউ