৯৯৯-এ ফোন দিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালো শিক্ষার্থী

জরুরি সেবা ৯৯৯

নরসিংদীর এক শিক্ষার্থী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে নিজের বিয়ে বন্ধ করে বাল্যবিয়ের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে। এই কিশোরী আরও লেখাপড়া করতে চায় বলে পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে কিশোরীর পরিবারকে বুঝিয়ে তার লেখাপড়া অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় জরুরিসেবার অতিরিক্ত ডিআইজি তবারক উল্লাহ এই তথ্য জানান।

তিনি জানান, ‘আজ (রবিবার) সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে নরসিংদী সদরের সালিথা থেকে এক কিশোরী ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে তার নিজের বিয়ে বন্ধ করার জন্য পুলিশের সহায়তা চায়। কলার ফোন দিয়ে জানায়, সে দশম শ্রেণির ছাত্রী, তার বয়স মাত্র ১৬। বাবা-মা তার অমতে বিয়ে ঠিক করেছে এবং আজ দুপুরে বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কিন্তু, সে আরও পড়ালেখা করতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘কলার কিশোরী আরও জানায়, সে লুকিয়ে ফোন করেছে।  সে ৯৯৯ এর কাছে তাকে এ অবস্থা থেকে উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।’

জাতীয় জরুরিসেবার অতিরিক্ত ডিআইজি তবারক উল্লাহ আরও জানান, ‘৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে নরসিংদী সদর থানার ডিউটি অফিসারের সঙ্গে তাকে কথা বলিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে নরসিংদী সদর থানার এসআই জাকির হোসেন ফোর্সসহ অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যান। পরে এসআই জাকির হোসেন ৯৯৯-কে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বালিকার মা-বাবাকে বোঝান। তিনি পাত্রপক্ষের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গেও কথা বলেন। তাদের জানান, বাল্যবিয়ে আইনবহির্ভূত এবং তারা এ বিয়ে দেওয়া থেকে বিরত না হলে মোবাইল কোর্ট ডেকে সাজার দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  শেষ পর্যন্ত সকলে এ বিয়ে বন্ধ করার পক্ষে একমত হন।’ 

পরে ৯৯৯ থেকে কিশোরী কলারকে ফোন করা হলে সে জানায় তার বিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে সে ৯৯৯-কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তবারক।