মুজিববর্ষেই যৌন নিপীড়ন নিরোধ আইন পাস করা হবে: শিরীন আখতার

111মুজিববর্ষেই যৌন নিপিড়ন নিরোধ পূর্ণাঙ্গ আইন পাস করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্য শিরীন আখতার। তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করে আইনটি পাসের জন্য জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে কর্মজীবী নারী আয়োজিত ‘কর্মক্ষেত্রে সকল প্রকার সহিংসতা ও যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের ২০০৯ সালের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং আইএলও কনভেনশন ১৯০-এর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
শিরীন আখতার বলেন, ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও সব ক্ষেত্রে এটি সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়সহ কিছু প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন হলেও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনার অভাবে কার্যকর কোনও ভূমিকা রাখতে পারেনি। কর্মক্ষেত্রে সব ধরনের সহিংসতা ও যৌন হয়রানি বন্ধে নারীদের আরও সচেতন হতে হবে। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ করতে হবে।’ প্রতিবাদ না করলে এই সহিংসতা কমবে না, বরং বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সেমিনারে কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের পরিসংখ্যানের একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ১০ শতাংশ নারী পুলিশ তাদের কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হন। মধ্য পর্যায়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, সাব-ইন্সপেক্টর পর্যায়ে তা ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি কনস্টেবল পর্যায়ে ১০ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
অ্যাকশন এইডের একটি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ৮০ শতাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক কারখানাতে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ব্র্যাকের এক গবেষণায় দেখা যায়, ৯৪ শতাংশ নারী পরিবহন চলাচলের সময় মৌখিক, দৈহিক এবং অন্য যেকোনও ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন। এতে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দিল আফরোজ বেগম, আয়োজক সংগঠনটির সভাপতি ড. প্রতিমা পাল মজুমদার, নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক প্রমুখ।