ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রস্তুত ‘স্মৃতির মিনার’

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। এরপরই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতির মিনারে নামবে লাখো মানুষের ঢল। বৃহস্পতিবার রাতে ঘড়ির কাঁটা ঠিক যখন ১২টা বেজে ১ মিনিট হবে, তখন-ই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মানুষ স্মরণ করবে ভাষা শহীদদের। ভাষা শহীদদের স্মরণে ইতোমধ্যে প্রস্তুতির কাজও শেষ হয়েছে। রঙ আর আলপনায় সেজেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পুরো এলাকা। নিরাপত্তা জোরদার করতে দুপুর থেকেই ওই এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

দিবসটি পালনে মাসব্যাপী কাজ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজক কমিটি। আয়োজকরা বলছেন, শহীদ মিনারের সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত। চার স্তরের নিরাপত্তার মধ্যে পালিত হবে অমর একুশের অনুষ্ঠান।

জানা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারির দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং পুরো এলাকা থাকবে সিসিটিভির আওতায়। নিরাপত্তার পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়া দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি বিদেশি অতিথি এবং কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। যেকোনও ধরনের নাশকতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর রয়েছেন।

এদিকে, সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে শহীদ মিনারসহ আশপাশের রাস্তার দেয়ালে নতুন রঙ করা হয়েছে। মিনারের চারপাশে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা মিনার প্রাঙ্গণ আলপনা এঁকে বেদিসহ সংলগ্ন এলাকা রঙের তুলিতে সাজিয়েছেন। সন্ধ্যা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাস বা আইডি কার্ড ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি’ শহীদ মিনারে যাতায়াতের জন্য একটি রুট ম্যাপ তৈরি করেছে। এসব এলাকায় যাতায়াতের পথচারীদের রুট-ম্যাপ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

অমর একুশে উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহবান জানাচ্ছি।’