পুস্তক বিক্রেতাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

BooK-2-2002131048-2002131203

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের ধারা-উপধারা সংশোধনের দাবিতে ঘোষিত সারাদেশের বইয়ের দোকান বন্ধ রাখাসহ ও মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।  শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠেয় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। 

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পাঠানো সমিতির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আহ্বানে সন্তুষ্ট হয়ে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় দোকান বন্ধ রাখা,মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত ‘শিক্ষা আইন ২০১৯’- এর কয়েকটি ধারা-উপধারা সংশোধনের জন্য ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিসহ ১২টি সংগঠনের উদ্যোগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের পর ওইদিন রাতে সমিতির নেতারা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তখন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন— ‘প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৯ ’ নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনেকটা বিভ্রান্তিমূলক। এ ব্যপারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি জানায়, আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার পর সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় মাধ্যমে হয়রানির শিকার হন পুস্তক বিক্রেতারা। তাই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। 

পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতারা জানান, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে ‘নোট-গাইড বইকে সজ্ঞায়িত করা হলেও বাজারে ‘নোট-গাইডে’র অস্তিত্ব নেই। বাজারে অনুশীলনমূলক সৃজনশীল সংস্করণ বই বিক্রি হয়। অথচ অনুশীলনমূলক বইকে সজ্ঞায়িত করা হয়নি। অনুশীলনমূলক বইকে সজ্ঞায়িত করে তা বিক্রি ও বাজারজাত অব্যাহত রাখার দাবি জানানো হয়।