বেগুনবাড়ি-মধুবাগের কলহে খুন হন শিপন

গ্রেফতার আজাদ ও সুজন

রাজধানীর হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ি ও মধুবাগ— এই দুই মহল্লার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকার কিশোরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। মধুবাগ এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে বেগুনবাড়ির আজাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিকভাবে ওই মেয়ের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায় আজাদের পরিবার। বেগুনবাড়ির ছেলে মধুবাগ এলাকার মেয়েকে বিয়ে করবে, এ নিয়ে মধুবাগের ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আজাদ ও তার পরিবারকে অপমান করে। এই ঘটনার জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ‍২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মধুবাগ ব্রিজে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় শিপনকে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন এই ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘শিপনকে হত্যার অভিযোগে আজাদ, সুজন ও ইব্রাহিমকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের এসব তথ্য জানা গেছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভিকটিম শিপনের হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগ।’

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু

অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, ‘আগে থেকে চলে আসা দ্বন্দ্ব ও ২১ ফেব্রুয়ারি আজাদের পরিবারকে আটকে রাখার প্রতিশোধ নিতে ঘটনাস্থলে ওঁৎ পেতে থাকে আজাদ ও তার বন্ধুরা। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে মো. শিপন ও তার বন্ধু মানিক মোটরসাইকেলে হাতিরঝিলে ঘুরতে যান। রাত ১০টা ১৫ মিনিটে মধুবাগ ব্রিজের মোড়ে এসে ইউটার্ন নিয়ে মধুবাগ ব্রিজের দিকে যাওয়ার সময় গ্রেফতার ব্যক্তিরা তাদের সহযোগীদের সহায়তায় শিপনের মোটরসাইকেল থামায়। আজাদ তার হাতে থাকা সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে শিপনের পেটে আঘাত করে। শিপনকে বাঁচাতে তার বন্ধু মানিক এগিয়ে আসলে সুজন চাকু দিয়ে তার পেটে আঘাত করে। পরে আহত অবস্থায় শিপন ও মানিককে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে শিপন মারা যান।