দূর থেকে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি দেখে গেলেন মেয়র আতিক

মেয়র আতিকের উদ্যোগে চলছে ত্রাণ বিতরণ

করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া রাজধানীর ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের সোনালী ব্যাংক স্টাফ কলেজের সামনে ১৮০ জন ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়। মেয়র আতিকুল ইসলামের সামাজিক সংগঠন ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’র পক্ষে থেকে এসব ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। 

বুধবার বেলা ১১টা থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়। সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলের কিছু দূরে এসে দাঁড়ান মেয়র আতিকুল ইসলাম। দূর থেকে তিনি ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি দেখেন। প্রথমে কর্মকর্তারাও কেউ বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। পরে কয়েকজন মানুষের নজরে এলে ছবি তুলতে সবাইকে নিরুৎসাহিত করেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে বয়োবৃদ্ধ কয়েকজন নারীকে দেখে মেয়র গাড়ি থেকে নামেন। তাদের কথা শোনেন। এসময় তিনি তাদেরকে ত্রাণসামগ্রী দেন।

পরে কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর অনুরোধে কথা বলেন আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘৮ নম্বর সেক্টরে একটি বস্তি আছে। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এখানে কেউ কখনও ত্রাণ সহায়তা দেয়নি। সে জন্যই আজ এখানে ত্রাণ দিচ্ছি। আমরা কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, এই কাজ অতো সহজ নয়। করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হচ্ছে।তাই এটাকে (ত্রাণ) ভিন্নভাবে দেওয়া যায় কিনা আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’

এক বৃদ্ধাকে রাস্তা পার করিয়ে দিচ্ছেন মেয়র আতিক

মেয়র বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা আছে যারা প্রান্তিক গোষ্ঠী, কখনও সহায়তা পায়নি, তাদেরকে দেওয়া। প্রকৃত ত্রাণ যাদের দরকার আমরা তাদেরকেই দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

মেয়র আতিক বলেন, ‘‘আমি সিটি করপোরেশনকে বলে দিয়েছি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে তিন লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই টাকার মধ্যেই তারা ত্রাণের প্যাকেট করছে। সব মিলিয়ে পুরো ডিএনসিসি এলাকায় ৩০ হাজার প্যাকেট করা হয়েছে। আজ  থেকে সব এলাকায় এগুলো বিতরণ শুরু হবে। আমি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে যারা মহিলা কাউন্সিলর, নতুন করে নির্বাচিত হয়েছেন— তাদের মাধ্যমে বিতরণ শুরু করেছি। যারা আমাদের কাছে এসেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছে— ‘আমরা কিছুই পাইনি, আমাদের খাদ্য দরকার’, আমরা তাদেরকেও ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছি।’’