এ থেকে বাদ যাচ্ছে না গৃহহীন মানুষও। তাদেরও কোনও না কোনোভাবে এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যাওয়া বা এ ভাইরাসে আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকছে। কিন্তু যেসব মানুষের ঘর নেই, তাদের কোয়ারেন্টিন কীভাবে নিশ্চিত করা হবে, সে বিষয়ে কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তবে সিটি করপোরেশন বলছে, কেউ আগ্রহ প্রকাশ করলে তারা ব্যবস্থা করবেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাব বলছে, শুধু রাজধানী ঢাকায় ৫০ হাজারের বেশি ভাসমান মানুষ রয়েছে। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভাসমান এই মানুষগুলোর থাকার জায়গা নেই। করোনা পরিস্থিতিতে এই মানুষগুলোও ঝুঁকিতে। তাদের কেউ আক্রান্ত হলে খুব দ্রুত অন্যদের মধ্যেও এই রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে।
শান্তিপুর এলাকার অপর এক নারী জানান, তিনি দিনে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করেন। তিনি কাজ করেন এমন এক বাসায় বিদেশফেরত প্রবাসী রয়েছেন। এটা শোনার পর অনেকেই তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলছে। কিন্তু তিনি একটি কর্মজীবী নারী হোস্টেলে থাকেন। সেখানে কোয়ারেন্টিনের সুযোগ নেই। তাহলে তিনি কীভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন?
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানী ঢাকার গৃহহীনদের জন্য তাদের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টিনের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে গৃহহীন মানুষের কেউ যদি আবেদন করেন, তাহলে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা করবে বলেও জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
অপরদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কারও গৃহ নেই এটা ওই অর্থে ঠিক না। কারণ সে তো কোথাও না কোথাও থাকে। হয়তো ভাড়া বাসায় থাকেন না হয় বস্তিতে। যেখানেই থাকুক তার তো একটা নির্দিষ্ট জায়গা আছে। কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন হলে সে সেখানে অবস্থান করতে পারে। আর সহযোগিতা লাগলে সিটি করপোরেশন আছে। সরকারও সহযোগিতা করবে। এখন পর্যন্ত কেউ তো আমাদের কাছে সহযোগিতা চায়নি।