মসজিদ থেকে ফেরত পাঠানো হলো মুসল্লিদের




সরকারের নিষেদ্ধাজ্ঞা থাকার পরেও শুক্রবার (১০ এপ্রিল) অনেকেই জুমার নামাজে অংশ নিতে মসজিদে উপস্থিত হন। তবে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনেক মসজিদের মাইকে মুসল্লিদের মসজিদে না এসে বাড়িতে জোহরের নামাজ পড়তে আহবান জানানো হয়। অন্যদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও মুসল্লিরা জুমার জামাতে অংশ নিতে হাজির হলে আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ফিরিয়ে দিন।

দুপুরে আজানের আগেই রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদের মাইকে মুসল্লিদের উদ্দেশে বলা হয়, মসজিদে না এসে বাসায় জোহরের নামাজ আদায় করতে। তবে এমন অনুরোধের পরেও রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মসজিদের সামনে মুসল্লিদের দেখা যায়। যদিও কর্তৃপক্ষ মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেয়নি।

এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও আজানের পর মুসল্লিদের আসতে দেখা গেছে। যদিও ফটক থেকেই তাদের ফিরিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। অন্যদিকে মসজিদের ভেতরে ১০ জনের বেশি মানুষদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরও কেউ কেউ মসজিদের বাইরে নামাজ আদায় করেছেন।

৬ এপ্রিল মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেয় সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুধু মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমরা মসজিদে নামাজ আদায় করবেন। জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়েরও নির্দেশ দেওয়া হয়। মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ অনধিক পাঁচ জন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ছবি: নাসিরুল ইসলাম