‘এক লাখের বেশি এন ৯৫-সহ সমমানের মাস্ক মজুত আছে’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদউল্লাহস্বাস্থ্য খাতের সরকারি ক্রয় প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেজ ডিপোর (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদউল্লাহ জানিয়েছেন, মানহীন মাস্ক সিএমএসডি সরবরাহ করেনি। বর্তমানে সিএমএসডি বিভিন্ন গ্রেডের এবং উন্নতমানের পিপিই পাচ্ছে— যা কোভিড-১৯-এর জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতালে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া, লক্ষাধিক এন-৯৫, কেএন-৯৫, এসইপি-২ ও পি-২ বা সমমানের মাস্ক মজুত রয়েছে।

এগুলো কোভিড-১৯-এর জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও পিসিআর ল্যাবরেটরিতে বিতরণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বুধবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোহাম্মদ শহিদউল্লাহ জানান, সিএমএসডি তার কারিগরি কমিটি দিয়ে পরীক্ষাকৃত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) ও অন্যান্য উপকরণ নিয়মিত দেশজুড়ে বিতরণ করে যাচ্ছে। এসব পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্কের সমমানের মাস্ক দেশের সব পর্যায়ে কোভিড-১৯ চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতাল, কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য ল্যাব ও মাঠপর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিতরণ করা হচ্ছে। আমাদের দেশে বর্তমানে এন-৯৫ মাস্কের সমমানের মাস্ক এক লাখের বেশি মজুত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সিএমএসডি লেটেস্ট পারটিক্যাল তৈরি সার্জিক্যাল গ্লাভস বিতরণ করেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সিএমএসডি তার কারিগরি কমিটি দিয়ে এসব গ্লাভসের মান পরীক্ষা করেছে।’

এ সময় নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিএমএসডি থেকে বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে যথাযথ মান পরীক্ষা করে রাজধানীসহ সারা দেশের হাসপাতালে মাস্ক ও গ্লাভস সরবরাহ করা হয়। সিএমএসডির বাইরে অনেক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে বা অন্য কারও কাছ থেকে সংগ্রহ করে তা স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে বিতরণ করছে।’

এ সময় তিনি কয়েক ধরনের মাস্ক দেখিয়ে ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অনেক চিকিৎসক, নার্স জানেন না তাদের কাছে সুরক্ষা সামগ্রী কোথা থেকে আসছে। ফলে এসব সামগ্রীর মান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।’

এ সময় তিনি সব হাসপাতালের পরিচালকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘উদ্বেগের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সিএমএসডির বাইরে হাসপাতালের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়করা বিভিন্ন সামগ্রী গ্রহণ করে থাকেন। সে ব্যাপারে অধীনস্থ চিকিৎসকরা অবহিত না। আমি অনুরোধ জানাবো, সিএমএসডি’র বাইরে যেসব সামগ্রী আসছে সেগুলোর মান যাচাই করে ব্যবহার উপযোগী কিনা, সেটি চিকিৎসকদের অবহিত করার জন্য। আমরা সবসময় বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা গ্রহণ করতে প্রস্তুত।’ এ সময় কাঙ্ক্ষিত মানের সামগ্রী সরবরাহের মাধ্যমে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় আরও সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত সিএমএসডি পিপিই সংগ্রহ করেছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৫০টি। বিতরণ করা হয়েছে ১১ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮টি। বর্তমানে মজুত রয়েছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯০২টি। সিএমএসডি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার পিপিই গ্রহণ ও বিতরণ করা হয়ে থাকে।