নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশিদের প্রতি কনসাল জেনারেলের অনুরোধ

‘হালিম কিনতে বাইরে যাবেন না’

নিউ ইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফায়জুন্নেসা।

পবিত্র রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ হালিম। দেশের বাইরেও তা ব্যাপক পরিচিত। তবে এই হালিম কিনতে গিয়ে কেউ যাতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত না হয় সেজন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে  যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট। এই বিষয়ে নিউ ইয়র্কে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানে দায়িত্বরত কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফায়জুন্নেসা।

 তিনি বলেন, ‘আমরা তাদেরকে বিশেষ করে অনুরোধ করেছি ইফতারি ও সেহরির খাবার কেনার জন্য বাইরে যাবেন না। হালিম কিনতে বের না হওয়া অনুরোধ করে তাদের বলেছি এ বছর না খেলে আমাদের সমস্যা হবেনা কিন্তু এটি কেনার জন্য বাইরে গেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।’

রমজান ও সামনে ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ কনসুলেটের সহায়তায় নিউ ইয়র্কে সোনালী একচেঞ্জ কোম্পানির কার্যক্রম ২ মে থেকে শুরু হবে জানিয়ে সাদিয়া বলেন, ‘এই সময়ে অনেক বাংলাদেশি দেশে টাকা পাঠান। এই সময়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার জন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।’

করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে প্রায় প্রতিটি শহর আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে প্রকোপ সবচেয়ে বেশি এবং সেখানে বাংলাদেশিদের বসবাস বেশি হওয়ার কারণে ঝুঁকিতে আছেন এসব প্রবাসী। কতজন বাংলাদেশী আক্রান্ত হয়েছেন বা কতজন মারা গেছেন তার সঠিক হিসাব পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, এ শহরেই সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন, অনানুষ্ঠানিকভাবে এই সংখ্যা ১৫০ এর বেশি। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশি কূটনীতিকরা সামনে থেকে তাদের পক্ষে যতদূর সম্ভব স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তা করার চেষ্টা করেছেন এবং করছেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার জন্য গোটা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছেন তারা।

নিউ ইয়র্কে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফায়জুন্নেসা এ বিষয়ে বলেন, ‘গত দুইমাস এমন কেটেছে যে প্রতিদিন সকালে মনে হতো যে একদিন বেশি বেঁচেছি।’

এই শহরে প্রচুর বাংলাদেশি থাকার কারণে তাদেরকে সেবা দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা আমাদের ব্যস্ত থাকতে হয়েছে, জানান তিনি।

চিকিৎসা শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রিধারী সাদিয়া জানান, নিউ ইয়র্ক শহরে লকডাউন শুরুর আগেই মার্চের প্রথম থেকেই বাংলাদেশে কনসুলেটে তারা সতকর্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। 

তিনি বলেন, ‘আমরা মার্চ মাসেই এখানে ডাক্তার পুল গঠন করেছি যাতে করে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হয়।’

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা সতকর্তামূলক বার্তা দিচ্ছি যাতে করে তারা সামাজিক দূরত্বসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।