পেশাদারিত্বে অর্ধযুগ পাড়ি বাংলা ট্রিবিউনের

বাংলা ট্রিবিউনের ৬ বছরঅর্ধযুগ পার করলো বাংলা ট্রিবিউন। দেশের জনপ্রিয় এই নিউজপোর্টাল আজ ১৩ মে সাত বছরে পা দিলো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত এ গণমাধ্যমটি ইতোমধ্যে অর্জন করেছে পাঠকপ্রিয়তা । সংবাদ পরিবেশনায় পরিচয় দিয়েছে পেশাদারিত্বের। সত্য প্রকাশে নিঃসঙ্কোচ এই অনলাইন সংবাদমাধ্যম দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলার পথে প্রতিনিয়ত নিশ্চিত করে যাচ্ছে সংবাদের যথার্থতা ও বস্তুনিষ্ঠতা। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও পাঠকের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে প্রকৃত খবর প্রকাশে বাংলা ট্রিবিউন আপসহীন, আর সেটিই তৈরি করেছে পাঠক মহলে আস্থার জায়গা। এই করোনাভাইরাসের সময়েও প্রতিদিন ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে যুক্ত থাকা, অনলাইন কিংবা ফোনে অসংখ্যবার বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাওয়া, মত প্রকাশ বা পরামর্শ দেওয়ার ঘটনা সারাক্ষণই প্রমাণ করে পাঠকরা সঙ্গেই আছেন, তাদের জন্যই সারাক্ষণ সব চেষ্টা বাংলা ট্রিবিউনেরও।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর অনলাইনভিত্তিক নিউজপোর্টালের বিকাশ এক যুগ ধরে। তবে স্মার্টফোনকেন্দ্রিক পাঠকদের আগ্রহ যখন মাত্রই দেখা দিয়েছিল ঠিক সে সময় ২০১৪ সালের ১৩ মে যাত্রা শুরু করে বাংলা ট্রিবিউন। গত এক যুগে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে কয়েক হাজার অনলাইন নিউজপোর্টাল চালু হলেও পাঠকের নির্ভরশীলতা ও আস্থা অর্জন করতে পেরেছে হাতেগোনা কয়েকটি। এদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষে রয়েছে বাংলা ট্রিবিউন। সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা ও প্রতিশ্রুত দায়বদ্ধতার কারণেই মাত্র অর্ধযুগে বাংলা ট্রিবিউন এ জায়গাটি দখল করতে পেরেছে। নিজের স্থান করে নিয়েছে অগণিত পাঠকের মণিকোঠায়।

দেশের একটি ক্রান্তিকালে বাংলা ট্রিবিউন তার অর্ধযুগ পার করতে যাচ্ছে। অদৃশ্য ভয়ঙ্কর শত্রু করোনাভাইরাসের গ্রাসে যখন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত অবস্থা পাড়ি দিচ্ছে তখন আরেকটি নতুন বছর শুরুর মুহূর্তে স্বভাবতই উচ্ছ্বাস প্রকাশে সংযত বাংলা ট্রিবিউন। তবে, দেশবাসীর মতো বাংলা ট্রিবিউনও বিশ্বাস করে, বৈশ্বিক এই মহামারি কেটে যাবে। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার বিজ্ঞানী ও প্রতিষ্ঠানের এই ভাইরাসের ওষুধ নিয়ে গবেষণা সুড়ঙ্গ প্রান্তে আলোর দিশা দেখাচ্ছে। বাংলা ট্রিবিউনের প্রত্যাশা, অচিরেই আবারও স্বাভাবিক হবে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। কেটে যাবে অন্ধকার, আসবে আলো।

ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ বলেন, বাংলা ট্রিবিউন কখনোই চটকদার খবর দিয়ে ক্লিক আদায়কে পুঁজি করেনি, সব সময় সংবাদের সত্যতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। ছয় বছরে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া এবং এটা ধরে রাখাই আমাদের অন্যতম অভীষ্ট। এ সবই সম্ভব হয়েছে আমাদের তরুণ সম্পাদকের বিচক্ষণতা, নিষ্ঠা ও নিরলস প্রচেষ্টায়। সেই সাথে একঝাঁক তরুণ সংবাদকর্মীর নির্ভীক, পেশাদার এবং উদ্যমী শ্রমে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি বাংলা ট্রিবিউনের দায়বদ্ধতার কথা তুলে ধরে আনিস আহমেদ বলেন, বাংলা ট্রিবিউন এখন একটি বড় পরিবার এবং সকলের সহৃদয় সহযোগিতায় আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে প্রোজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার চেষ্টায় সবসময় নিযুক্ত থাকবো।

প্রতিক্রিয়াকালে তিনি বাংলা ট্রিবিউনের সাথে থাকার জন্য পাঠক ও বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পাঠকের প্রতি দায়বদ্ধতা, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বাংলা ট্রিবিউন সকলের আস্থার জায়গা তৈরি করে নিয়েছে।

বৈশ্বিক দুর্যোগ কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও পার করছে কঠিন সময়। আমাদের কর্মীরা এই ক্রান্তিকালে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন পাঠকের কাছে সঠিক সংবাদ পৌঁছে দিতে। যেকোনও ক্রান্তিকালে গুজব ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা গেলেই গুজব রুখে দেওয়া সম্ভব। বাংলা ট্রিবিউনও সঠিক তথ্য ও সংবাদ পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।