ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নির্দেশ

ডেঙ্গু মশারাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ ও স্থাপনায় পানি যাতে না জমে, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। একইসঙ্গে নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও মনিটর করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সই করা আদেশটি শুক্রবার (২২ মে) জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাঙ্গণে ও স্থাপনায় পানি জমে মশকের লার্ভা জন্মানো রোধকল্পে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

গত ২০ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি ভবন ও বাসাবাড়ির ভেতর বা বাইরে পরিত্যক্ত বস্তু, ফুলের টব, ফ্রিজ, এসি, পরিত্যক্ত যানবাহন, গাড়ির টায়ার, ভবনের ছাদ্র এমনকি সরকারি ছুটির দিনে টয়লেটের কমোড বা প্যানে তিন দিনের বেশি সময় জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়। এছাড়া, নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ কিউরিং করার সময় জমে থাকা পানিতে এডিস জন্মায়।

অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প মেট্রোরেল, বিআরটি ইত্যাদিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান থাকায় প্রকল্প এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে মশার প্রজনন অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও পরস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ নির্মূল করা সম্ভব। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, দেশের সব নাগরিকের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ডেঙ্গু মশা প্রজননের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিকারী যেকোনও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে গত ১০ মে থেকে।