পাঁচ রোগীই লাইফ সাপোর্টে ছিল, দাবি ইউনাইটেডের

প্রেস ব্রিফিং করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের কমিউনিটেকশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভলপমেন্টের প্রধান ডা. সাগুফা আনোয়ার
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া পাঁচ রোগীর অবস্থাই ক্রিটিক্যাল এবং তারা আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিল বলে দাবি করেছে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালের কমিউনিটেকশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভলপমেন্টের প্রধান ডা. সাগুফা আনোয়ার। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) ইউনাইটেড হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।



পাঁচ রোগী কেন বের হতে পারলো না, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা সবাই জটিল রোগী ছিলেন, তাদের কেউ হাঁটার মতো অবস্থায় ছিলেন না, তারা সবাই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।’

তবে দগ্ধ হয়ে রিয়াজুল করিম লিটন নামে মারা যাওয়া এক রোগী বুধবার বিকালেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল বলে জানালে ডা. সাগুফা আনোয়ার বলেন, ‘নেগেটিভ হলেও তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। রোগীর ক্লিনিক্যাল অবস্থা দেখেই আমাদের চিকিৎসকরা তাকে… তিনি ‘হাইলি সাসপিসিয়াস’ ছিলেন।’

‘ক্রিটিক্যাল অবস্থা না হলে কেন তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হবে’, যোগ করেন তিনি। ডা. সাগুফা আনোয়ার বলেন, আগুন লাগার পর আমাদের পক্ষ থেকে যা করা সম্ভব সেটা করা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন লাগার খবর দেয়নি উল্লেখ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আপনারা একপক্ষের কথা শুনে বলছেন। আমাদের যা যা করার দরকার ছিল, সেসব কিছুই করা হয়েছে। তবে তাদেরকে (আগুনে মারা যাওয়া রোগী) বের করার আগেই তারা মৃত্যুবরণ করেন।’

আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশএসময় আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসক, নার্স কেউ ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক, নার্স সবাই ছিলেন, কিন্তু তারা ছিলেন বাইরের দিকে। আর রোগীরা ছিলেন ভেতরের দিকে। তাদেরকে বের করার আগেই তারা মৃত্যুবরণ করেন।’

তিনি দাবি করেন, ‘আগুনের সূত্রপাতের পর আমরা সময় নষ্ট করিনি। তখন আবহাওয়া খারাপ ছিল, বজ্রপাত হচ্ছিলো এবং বাতাসের বেগ বেশি ছিল। এসব কারণে আগুন দাউদাউ করে বেড়ে যায়।’

আগুন কীভাবে লাগে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে, হাসপাতালের পক্ষ থেকেও ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা আগামী রবিবারের (৩১ মে) মধ্যে রিপোর্ট দেবে।’

ফায়ার সার্ভিস বলেছে, হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক ১১টি যন্ত্রের মধ্যে ৮টিরই মেয়াদ ছিল না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে, লকডাউনের কারণে এগুলোর ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে কিছুটা দেরি হয়েছিল বলে জানান তিনি।