প্রতিদিন চার ঘণ্টা মশক নিধন কার্যক্রম চলবে: তাপস

নবাবগঞ্জ পার্কে বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকরোনা মহামারির মধ্যে ঢাকাবাসী যাতে ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত না হন সেজন্য মশক নিধনে নতুন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘আগে গতানুগতিকভাবে সকাল ৮টার সময় মশা নিধনের জন্য লার্ভিসাইডিং করা হতো। এখন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা লার্ভিসাইডিং করা হবে। অপরদিকে মাগরিবের সময় শুধু একঘণ্টা ফগার মেশিনে ধোঁয়া দিয়ে মশক নিধন করা হতো।এখন দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চার ঘণ্টা মশক নিধন কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া জলাশয়, নর্দমা পরিষ্কার করা, মাছ চাষের মাধ্যমে মশার লার্ভা নিধন করা, হাঁস চাষ করে জলাশয়গুলোকে সচল রাখাসহ কর্মপরিকল্পনা ঢেলে সাজিয়েছি।’ রবিবার (৭ জুন) সকালে নবাবগঞ্জ পার্কে বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মেয়র বলেন, ‘আমাদের ইশতেহার অনুযায়ী যে পাঁচটি রূপরেখা দিয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে আমরা এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমি নির্বাচনের সময় বলেছিলাম, মশক নিধন সামান্য সময়ের কোনও কার্যক্রম না, এটি বছরব্যাপী কার্যক্রম। আজ স্বল্প সময়ের মধ্যেই মশক নিধনের এই ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।সেই পরিকল্পনা আজ থেকে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
নগরবাসীকে ডেঙ্গুমুুক্ত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মহামারি করোনার মাঝে আমাদের ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার প্রকোপে আক্রান্ত করতে চাই না। এ বছর ইনশাআল্লাহ আমরা ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত রাখতে পারবো। করোনাভাইরাসসহ অন্য কোনও সংক্রামক ব্যাধিতে যাতে ঢাকাবাসী আক্রান্ত না হয়, তারা যেন সঠিক স্বাস্থ্যসেবা বা চিকিৎসা পায় সেজন্য আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ঢেলে সাজাচ্ছি। ডিএসসিসির আওতায় যেসব স্বাস্থ্যসেবা বিদ্যমান আছে সেটার অবস্থা একদম নাজুক এবং ভঙ্গুর। এজন্য আমরা মশক নিধনের গতানুগতিক কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। যদিও তা বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা এটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই মহামারির মধ্যেও মশক নিধন কার্যক্রমকে বেগবান করেছি।’

মেয়র নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘যদি কোথাও মশকের লার্ভা বা তার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন তাহলে আপনারা আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাবেন। এরপরও যদি সুরাহা না হয় তাহলে আমাকে জানাবেন। আমি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সার্বক্ষণিক আপনাদের জন্য নিয়োজিত আছি। দিনের ২৪ ঘণ্টাও যদি কাজ করতে হয়, আমি আপনাদের জন্য আছি। আমি কাজ করে যাবো। আমাদের লক্ষ্যপূরণ ছাড়া ঘরে ফিরবো না।’
তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যাতে কোনও বর্জ্য পড়ে না থাকে সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। অচিরেই আপনারা এর বাস্তবায়ন দেখতে পাবেন। এছাড়া রাস্তাঘাট উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করবো।’

ডেঙ্গু চিকিৎসার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘সব হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরও যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’