‘বিশেষ প্রয়োজনের’ কথা বলে পূর্ব রাজাবাজার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা

পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন (ছবি: হাসনাত নাঈম)তৃতীয় দিনের মতো লকডাউন চলছে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায়। এলাকাবাসীর চলাচল নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু এরপরও ‘বিশেষ প্রয়োজনের’ কথা বলে অনেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছেন। উপযুক্ত কারণ না থাকায় তাদের অনেককে ফেরত যেতে হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জুন) সরেজমিন দেখা যায়, পূর্ব রাজাবাজার থেকে কেউ বের হতে বা প্রবেশ করতে পারছেন না। পুলিশ বলছে, আগের দুই দিন এলাকাবাসী বের হওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ কাজে সহযোগিতা করছেন ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এর ফলে প্রবেশ বা বের হওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা না করে লকডাউন মানতে এলাকাবাসী অনেকটাই অভ্যস্ত হচ্ছেন।পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন (ছবি: হাসনাত নাঈম)

পূর্ব রাজাবাজার এলাকার চারদিক ঘুরে দেখা গিয়েছে, বাইরে বের হওয়ার তেমন কোনও চেষ্টা ছিল না এলাকাবাসীর মধ্যে। এরপরও ‘বিশেষ প্রয়োজনের’ কথা বলে অনেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছেন। উপযুক্ত কারণ না থাকায় অনেককে ফেরত যেতে হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজারের ভ্যান এলাকায় প্রবেশ করেছে। ভ্যানগুলো এলাকাটির মধ্যে প্রতিটি গলিতে ঘুরতে থাকবে। এলাকাবাসী প্রয়োজনীয় পণ্য সেখান থেকে কিনতে পারবেন।

এদিকে আজ থেকে যারা (সাংবাদিক, ডাক্তার ও নার্স) এলাকাটিতে প্রবেশ করবেন ও বের হবেন, তাদের আইবিএ হোস্টেলের পাশে খোলা থাকা জরুরি গেটটিতে নাম পরিচয় লিখিয়ে যেতে হবে।পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন (ছবি: হাসনাত নাঈম)

আরও দেখা গেছে, বিআরবি হাসপাতালের পাশ দিয়ে পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় ঢোকার রাস্তাটি পুলিশ প্রশাসন টিন দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বাংলা ট্রিবিউনে  ‘পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে লকডাউন এলাকায় ঢুকছে পণ্য’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সেখানে কর্তব্যরত শেরেবাংলা নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর ওয়াজেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এলাকাবাসী লকডাউন মানতে অভ্যস্ত হচ্ছেন। তারা বুঝে গেছেন, কোনোভাবেই এলাকা থেকে বের বা প্রবেশ হওয়া যাবে না। এরপরও কিছু কিছু মানুষ বের হওয়ার চেষ্টা করেন। উপযুক্ত কারণ মনে না হওয়ায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ এলাকায় বসবাসকারী সংবাদকর্মী, ডাক্তার ও নার্সরা প্রবেশ এবং বের হতে পারবেন।’

উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন এলাকাকে রেড (লাল) কিংবা ইয়েলো (হলুদ) জোন নির্ধারণ করে লকডাউনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, কোনও এলাকায় প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০-৪০ জন হলে সেই এলাকা রেড জোন হিসেবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। প্রতিটি এলাকা ম্যাপিং করে লকডাউন করা হবে। পূর্ব রাজাবাজারে মঙ্গলবার (৯ জুন) মধ্যরাত থেকে এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন- 
মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন

পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন, এলাকা ছেড়েছেন অনেকেই

পূর্ব রাজাবাজারে যেভাবে মানা হবে লকডাউন