ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সফলতার দাবি গ্লোবের, জানে না ওষুধ প্রশাসন

গ্লোব বায়োটেকগ্লোব বায়োটেক লিমিটেড দাবি করেছে তারা করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে। পশুর শরীরে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তারা সফলতা পেয়েছে বলে জানিয়েছে। মাত্র দেড় মাসে ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি কোনও ধরনের মেশিনপত্র ছাড়া করোনা পরীক্ষার কিটও আবিস্কারের দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আজ  বুধবার (১ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি করোনা ভ্যাক্সিনের এনিমেল ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। তবে প্রটোকল অনুযায়ী এখনও তারা  ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) কোনও অনুমতি নেয়নি। 

জানতে চাইলে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন বলেন, দেশের একটি প্রতিষ্ঠান করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছে এটি টিভিতে দেখেছি, এর বেশি কিছু জানি না। এখনও কেউ আমাদের কাছে অনুমোদনের জন্য আসেনি। এমনকি এ ধরনের কিছু বাংলাদেশে হচ্ছে বলেও জানা নেই।

গ্লোব বাযোটেকের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভ্যাকসেনির এনিমেল ট্রায়াল হয়েছে গত সপ্তাহে। সেখানে দেখা গেছে এটা সফলভাবে কাজ করছে, তখন মনে করলাম এ ভ্যাকসিন সফলভাবে কাজ করবে। আর এ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ শুরু হয় গত দেড় থেকে দুই মাস আগে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে জানিয়েছেন কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা পরের স্টেপ, ওদের কাজ এখনও আসে নাই। ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেবে বিএমআরসি, এরপর ওষুধ প্রশাসনের কাছে যেতে হবে।

বৃহস্পতিবারের ঘোষিত সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলো, এটা মানুষকে জানাতে হবে, মানুষকে আশা দিতে হবে। আশা নিয়েই মানুষ বাঁচে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেরাই এটা নিয়ে খুব আশান্বিত, যেহেতু এনিমেল টেস্টে এন্টিবডি পেয়েছি সেহেতু ডিক্লেয়ার দিয়ে দিয়েছি যে কোভিড এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলছি। তবে আবিস্কার করলেও এর আরও বহু ধাপ রয়েছে, সেগুলো আমরা স্টেপ বাই স্টেপ করবো। বিএমআরসি যখন আমাদেরকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেবে তখন ওষুধ প্রশাসন জানবে। আর যদি এটা সফল হয় তাহলেতো বাংলাদেশের নাম বিশ্বের মানচিত্রে উঠে গেল।

গ্লোব বায়োটেক করোনা টেস্টের জন্য কিট বানাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তখন মেশিন ছাড়া করোনা পরীক্ষা করা যাবে। সেটাও হয়তো আগামী কয়েকদিনের ভেতরে ঘোষণা দেওয়ার কথা বলেন চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ।