শুধু স্বপন নয়, তার মতো ওয়ারীর অনেক বাসিন্দা এলাকা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। করোনার সংক্রমণ রোধে শনিবার ভোর ৬টা থেকে ২১ দিনের জন্য এই লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় সেভাবে লোকজন বের হতে দেখা না গেলেও সকাল ৯টার পর দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। কেউ বলছেন চাকরিতে যাবেন, কেউ বলছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাবেন। এসব নিয়ে সার্ভিস গেটগুলোয় ভিড় করছেন তারা। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় কেউ প্রবেশ ও বের হতে পারছেন না।
লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে ওই এলাকার স্বেচ্ছাসেবক হান্নান বলেন, ‘এলাকাবাসী সুবিধার্থেই লকডাউন করা হয়েছে। এজন্য আমরা কাউকেই বাইরে যেতে এবং প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। যদি কেউ এলাকা থেকে একবারে বের হতে চায় তবে তার নাম এবং ছবি তুলে রেখে দিচ্ছি। ২১ দিন পরে লকডাউন শেষ হলেই তিনি এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন।’
ওয়ারী এলাকার পেট্রোল ইন্সপেক্টর আকতার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আপনারা ও আমরা কেউই চেষ্টা কম করছি না। যদি লোকজন নিজ থেকে সচেতন না হয় তাহলে তো কিছু করার থাকবে না। এলাকায় প্রায় ৪৬ জন রোগী রয়েছে। সরকার চিন্তাভাবনা করেই এটাকে রেড জোন ঘোষণা করেছে। সরকারের যে চিন্তাভাবনা, রোগী কমিয়ে এনে সুস্থ অবস্থায় ফেরানো, এটাকে সবারই সহযোগিতা করা উচিত। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি লোকজনকে বুঝিয়ে ঘরে রাখার।’
আরও পড়ুন: