ওয়ারীতে লকডাউন: প্রবেশ পথে ভিড়, ভেতরে আড্ডা

4c2b680815e560741e7f749e85195d2f-5eff0e6f6056a

ওয়ারী এলাকার প্রবেশ ও বহির্গমন পথে দীর্ঘ ভিড় দেখা গেছে। নান অজুহাতে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা। আর ভেতরের অলিগলিতে আড্ডা দিচ্ছেন কেউ কেউ। স্বেচ্ছাসেবকরা চেষ্টা করেও হিমশিম খাচ্ছেন। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকাল ১১টার দিকে এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো ওয়ারীর সুমি'স হট কেক বেকারির সামনের গেটে সাধারণ মানুষের দীর্ঘ ভিড। খাতায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এলাকা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন তারা ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট ও রোগী ছাড়া বাকি কাউকে বের হতে দিচ্ছেন না।

এসময় ভেতরের গলিগলিগুলোতে স্থানীয় বাসিন্দাদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে তাদের বাসায় অবস্থান করার জন্য বারবার মাইকে অনুরোধ করা হলেও কেউ তা মানছেন না। আড্ডা দেওয়া মানুষগুলোর অধিকাংশের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি। এলাকার প্রায় প্রতিটি গলিতেই এমন চিত্র দেখা গেছে।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওয়ারীর হেয়ার রোডে স্থানীয় যুবকদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে। এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের বাসায় ফেরার অনুরোধ করলেও তারা কিছুক্ষণ পরে যাবেন বলে স্বেচ্ছাসেকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।

তাদের একজন নাফিজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'বাসায় কতোক্ষণ বন্দি থাকা যায়। একটু বের না হলে মানসিকতা ঠিক থাকে না। সে কারণে একটু বের হই। করোনায় আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।'

একই অবস্থা দেখা গেছে ওয়ারী উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় স্থাপিত লকডাউন কন্ট্রোল রুমের সামনেও। সেখানেও বেশ কিছু মানুষকে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।

এদিকে ওয়ারীর সুমি’স হট কেকের সামনের গেটে একটি জীবাণুনাশক যন্ত্র স্থাপন করা হলেও সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই এলাকা থেকে কাউকে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে তাকে ওই মেশিন দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে না। মেশিনটির বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন, সেটি কাজ করছে না।

জানতে চাইলে বুথের দায়িত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর সমাজ কল্যাণ শাখার তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলাম খান নাঈম বলেন, 'লকডাউন এলাকায় আমরা কাজ করছি। সরকারি যেসব নির্দেশনা রয়েছে, সেগুলো পালন করা হচ্ছে।'

স্থানীয় কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো বলেন, 'মানুষকে লকডাউনের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানে আমাদের লোকজনের পাশাপাশি পুলিশের সদস্যরাও রয়েছে। তারাও দায়িত্বপালন করছেন।'