সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে ভার্চুয়াল বিচার ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর এ ব্যবস্থা কার্যকর প্রমাণিত হলে সপ্তাহে পাঁচ দিনই ভার্চুয়ালভাবে আপিল বিভাগের বিচার কাজ চলবে।‘
এসময় প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনায় যোগ দেওয়া আপিল বিভাগের আরও পাঁচ বিচারপতি। তারা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিক ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।
এদিকে আপিল বিভাগের প্রথম দিনের ভার্চুয়াল শুনানিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনসহ আপিল বিভাগের মামলা সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরাও এসময় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতের সঙ্গে যুক্ত হন।
এর আগে গত ১২ জুলাই আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ বসার বিষয়ে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঞা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল কোর্টের বিচারকার্য পরিচালিত হবে প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার। এ দু’দিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ২৫ মার্চের পর থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-
করোনায় ‘ভার্চুয়াল কোর্ট’ চলতে পারে যেভাবে
যে কারণে ভার্চুয়াল আদালত চান না দেশের সিংহভাগ প্রবীণ আইনজীবী
সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারকাজ চলবে