সাহেদ ও সাবরিনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

মো. সাহেদ ও ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও জেকেজি’র চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনার মতো অপরাধীদের বিচারকাজ দ্রুত বিচার আদালতে করাসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটি। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাফল্যজনক অভিযানের পাশাপাশি করোনা শনাক্তকরণ সার্টিফিকেট জালিয়াতির অন্যতম হোতা জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর গ্রেফতারের পর আমাদের গোটা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার গলদ সম্পর্কে গণমাধ্যমে যেসব উদ্বেগজনক সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, তা আমাদের অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করেছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিজনিত মহাদুর্যোগকালে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এই  মহামারি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রথম থেকে একের পর যে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের এবং পরিবারের সব সদস্যের জীবন বিপন্ন করে করোনাক্রান্ত ও অন্যান্য রোগীর চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন। এই সেবা প্রদান করতে গিয়ে নিজেদের আত্মাহুতি দিচ্ছেন। আমাদের সব অর্জন সাহেদ ও সাবরিনাদের মতো জঘন্য দুর্বৃত্তদের নজিরবিহীন অপরাধের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ভুয়া করোনা শনাক্তকরণ সার্টিফিকেট বিক্রি করে এই ধরনের দুর্বৃত্তরা দেশের জনস্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার পাশাপাশি বহির্বিশ্বে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্যের ভাবমূর্তি মলিন করেছে।

সাহেদকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে এতে আরও বলা হয়, জেকেজি’র সাবরিনাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হলেও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ভয়ঙ্কর জালিয়াত সাহেদ এখনও গ্রেফতার হয়নি। আমরা এই দুর্বৃত্তের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করছি। একইসঙ্গে জালিয়াতচক্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কারা, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাদের সহযোগিতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত প্রতারক সাহেদ এবং তার লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালকে করোনা শনাক্তকরণ সনদ প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে—গোটা মেডিক্যাল মাফিয়া চক্রকে খুঁজে বের করে, তাদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।  দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর শূন্য সহিষ্ণুতার অঙ্গীকার ও যাবতীয় অর্জন সবকিছু প্রশ্নবিদ্ধ হবে, যদি সাহেদ ও সাবরিনাদের গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।