মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনা সংক্রমণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে স্থবির করে ফেলেছে। বিশেষত শ্রমজীবী মানুষদের জীবনকে চরম হুমকির মধ্যে ফেলেছে। এই সময় উৎপাদনের প্রধান চালিকা শক্তি শ্রমজীবী মানুষকে রক্ষায় শিল্প মালিকদের দায়িত্ব ছিল শ্রমিকদের উপার্জনের সুযোগ বৃদ্ধি করা, তাদের নিয়মিত আয়ের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা। কিন্তু অধিকাংশ শিল্প, প্রতিষ্ঠান, পরিবহনের মালিক সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ করেছেন। তারা শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামত শ্রমিক ছাঁটাই করেছেন, বিনাবেতনে ছুটির মাধ্যমে উপার্জন বঞ্চিত করেছেন, বেতন-বোনাস কর্তন করেছেন।
তারা প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল শ্রমিকের প্রাপ্য মজুরি-বোনাস আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধের আহবান জানান।
গার্মেন্টস মালিকদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তারা বলেন, গার্মেন্টস মালিকরা বোনাস পরিশোধের জন্য ২৭ জুলাই এবং চলতি মাসের বেতন পরিশোধের জন্য ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। শেষ সময়ের সুযোগ নিয়ে ফাঁকি দেওয়ার যেকোনও চেষ্টা করা হলে পরিণতি ভালো হবে না।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স্কপের যুগ্ম-সমন্বয়কারী ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, স্কপের যুগ্ম-সমন্বয়কারী ও জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নঈমুল আহসান জুয়েল, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।