আজ শনিবার ( ২৫ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলঅ হয়েছে, করোনা মাহামারিতে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরনের আপস নয়। ইতোমধ্যে তারা মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে মামলা দায়ের ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি রবিবারের (২৬ জুলাই) মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেবেন। এরপর প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তীতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাস্ক সরবরাহ বাবদ অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জুলফিকার আহমেদ আমিন।
তিনি জানান, মোট চারটি লটে তিন হাজার ৪৬০টি মাস্ক গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ ৯৫৯টি মাস্ক ফেরত দেওয়া হয়েছে, আর মাস্ক নেওয়া হয়েছে দুই হাজার ৫০১টি। ৭৩০ টাকা হিসেবে মোট ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৭৩০ টাকার মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাতে ‘এন-৯৫’ মাস্কের পরিবর্তে নকল ও ত্রুটিপূর্ণ মাস্ক সরবরাহ করায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বাদী হয়ে দায়ের করা প্রতারণার মামলায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুলাই) রাতে তাকে রাজশাদীর শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শারমিন জাহান ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত।
আরও পড়ুন-
আমাকে ফাঁসানো হয়েছে: ‘নকল মাস্ক সরবরাহকারী’ শারমিন