আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, রাত ১টা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
যদিও এখনই ঈদের আবহাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে রাজি হননি আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, 'এখনই ঈদের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া ঠিক হবে না। আমরা একদিন আগে জানাতে চাই। তবে এখন যে অবস্থা আছে, আবহাওয়ার সেটি আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত থাকবে। এরপর অন্য কোনও সমস্যা না হলে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। সেই হিসেবে আগামী ৩১ জুলাই, ১ ও ২ আগস্ট হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে এখনকার মতো ভারী কিছু না হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পার। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আজ দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোনায় ৯৪ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকা বিভাগের মধ্যে ফরিদপুরে ৪৭, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে মাইজদীকোটে ৪৮, সিলেটে ৩৪, রাজশাহী বিভাগের মধ্যে বগুড়ায় ১৬, রংপুর বিভাগের মধ্যে তেঁতুলিয়ায় ৪৫, খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোরে ৩৯ এবং বরিশাল বিভাগের মধ্যে পটুয়াখালীতে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।